নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক।
কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর গ্রামের কয়েকজন চাষি জানান, এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। কারণ বাজারে খিরার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা ক্রয় করছেন। মোজাফফরপুরের মতো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে খিরার চাষ।
স্থানীয় কৃষক কাজল মিয়া জানান, এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন তিনি।
উপজেলার ছয়দুন গ্রামের কৃষক ছলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেন তিনি। এ বছর খিরা চাষ করেছেন ২০ শতাংশ জমিতে। চাষে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। খেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলবে খিরা তোলা। প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার খিরা তোলেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।
খিরা ব্যবসায়ী আলম জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাইব্রিড খিরা পাওয়া গেলেও কেন্দুয়ার নদীর ধারের জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরার স্বাদও ভালো। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি।।
মোজাফফরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা জানান, কেন্দুয়া উপজেলার মধ্যে এ ইউনিয়নে জালিয়ার হাওরে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। খিরা চাষিদের কৃষি প্রণোদনাসহ কৃষি ঋণ দেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবীর জানান, এবার উপজেলার ৮০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে। এ উপজেলার কৃষকদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।