সংবাদ শিরোনাম

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বজুড়ে গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন ৮৬ হাজার ৫৭০ জন; আর এই সময়সীমার মধ্যে করোনায় নতুন রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৪ জন। বিশ্বের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সেরে ওঠা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত এক সপ্তাহে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে এই সময়সীমার মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ৭২৬ জন; আর আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৪ জনে। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনাও ঘটেছে ভারতে।

গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় ভারতের পরেই আছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম এই দেশটিতে এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৬ জন করোনা রোগীর; আর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে মোট আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত ৭ দিনে মারা গেছেন ৪ হাজার ২৯৬ জন করোনা রোগী, আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৪ হাজার ৬৩১ জন। সাপ্তাহিক মৃত্যু ও আক্রান্তের তালিকায় বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশটি।

করোনায় সাপ্তাহিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটিতে গত ৭ দিনে করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ২০৬ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪৪ জন।

করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৫৯২ জন। মারা গেছেন মোট ৩৪ লাখ ৪ হাজার ২৭৯ জন।

বিশ্বের দেশগুলোতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪৩ জন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ নিয়ে চলছেন ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫ জন; আর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭০৮ জন।

অবশ্য প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম নয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৩জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২০ সালের প্রথম সাত-আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর ওই বছরের শেষ দিকে কিছুটা

কমে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাজারে এসে যাওয়ায় গণটিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

তবে গত মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ফের ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দক্ষিণ এশিয়া।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম