সংবাদ শিরোনাম

 

 

ময়মনসিংহে শিম-বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। একই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিম ও হাসের ডিমে ডজনে বেড়েছে ৫-৮ টাকা। বেড়েছে মাছের দামও। তবে স্থিতিশীল আছে গরু-খাসি-মুরগির দাম।

 

নগরীর মেছুয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা মতিন মিয়া বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতেই পচে গেছে। যে কারণে বাজারে সবজির যোগান কম। তাই সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে শিম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, লাউ ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচকলা ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, লতা ৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

 

বাজারের মাছ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, দেশি মাছ বাজারে নেই। মাছের যোগান কম থাকায় বাজারে মাছ নেই। তাই সব ধরনের মাছের দাম কেজিকে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।

 

তিনি বলেন, রুই মাছ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, ছোট বোয়াল মাছ ৫০০ টাকা, ছোট কাতল মাছ ২৮০ টাকা, বাউশ মাছ ২৫০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০ টাকা, মলা মাছ ৪০০ টাকা, চাপিলা ৩০০ টাকা, বাইম মাছ ৭০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৭০ টাকা, সিলভার ২২০ টাকা, মৃগেল ৩০০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।

 

আল্লাহর দান ডিমের আড়তের মালিক বিপ্লব বলেন, ডিমের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। একদিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজনে চার টাকা বেড়ে ১৩২ টাকা, হাসের ডিম ডজনপ্রতি ৮ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

 

মো. আশিক মিয়া বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, দেশি আলু ৩৫ টাকা, হল্যান্ড আলু ২৮ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

মাংস বিক্রেতা আজিজুল মিয়া বলেন, মাংসের দাম স্থিতিশীল। বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

একই বাজারের মোহাম্মদ আলী বলেন, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা কক ২৮০ টাকা, ব্রয়লার ১৬৫ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

 

কাঞ্চন পাল নামের এক মুদি মাল বিক্রেতা বলেন, নির্ধারিত দামের চাইতে অনেক কমে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মূলধন হারিয়ে পথে বসতে হবে।

 

তিনি বলেন, সয়াবিন তেল ১৮৪ টাকা, পাম তেল ১৪০ টাকা, সরিষার তেল ২৬০ টাকা, নারিকেল তেল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম