ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমাদের সকল অবস্থান ও সকল সাফল্যের দাবিদার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। তারা যদি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন না করতেন তবে এর কিছুই সম্ভব হতো না। তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে আমাদের বসবাস করতে হতো।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্ববোধ এবং কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই আমরা প্রতি বছর এ সংবর্ধনার আয়োজন করে থাকি। সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর টাউনহলের এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসরত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আজ ৮৯৯ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। সিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ও পানির কর মওকুফের সিদ্ধান্ত আমাদের রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ ১৮০ বীর মুক্তিযোদ্ধার কর মওকুফ সনদ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ২ তলা পর্যন্ত ভবনের নকশা অনুমোদনে বিনামূল্যে আবেদন করতে পারছেন।
এ সময় সিটির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপনের ফি মওকুফ এবং সিটির নতুন সড়কসমূহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকের নামে নামকরণের ঘোষণা দেন মেয়র। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পৃথক করবস্থান নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান। মেয়র টিটু বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা আমরা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজ অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস, ছবি ইত্যাদি সিটি কর্পোরেশনে পৌঁছানোর জন্য সিটির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি অনুরোধ করেন।
এসব তথ্য উপাত্ত নিয়ে পরে একটি সংকলন প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান রেখে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনা করছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগকে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, সচিব অন্নপূর্ণা দেবনাথ, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির পিপি কবির উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার সেলিম সাজ্জাদ ও মোঃ আব্দুর রব, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি সৈয়দ রফিকুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব সেলিম সরকার, সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবুল কামাল আজাদ, মোঃ খালেক শিকদার ও রেলওয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডার মোজাম্মেল হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল শামীম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলম খান সোহেলসহ প্রমুখ।
