ময়মনসিংহের ফুলপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা
আপডেটঃ ৬:১৭ অপরাহ্ণ | জুন ০১, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম : স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর ও ননদের বিরুদ্ধে গৃহবধু খাদিজা খাতুন (২১) কে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শ্বাশুড়িকে আটক করেছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাতিকুড়া গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার বাতিকুড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. খলিলুর রহমানের সাথে ৮/৯ মাস আগে আমুয়াকান্দার আ. খালেকের মেয়ে খাদিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামী ও তার বাড়িব লোকজন খাদিজার উপর প্রায়ই নির্যাতন করত। কিছুদিন আগেও খাদিজাকে মারপিট করে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ১০/১২ দিন আগে সালিশ দরবারের মাধ্যমে আবার গৃহবধু খাদিজাকে স্বামী বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার বিকালে স্বামী খলিলুর রহমান ও বাড়ির লোকজন খাদিজার সাথে ঝগড়া করে। ঝগড়ার পর রাতে স্বামী ও তার লোকজন খাদিজার উপর নির্যাতন করে। পরে রাতেই খাদিজাকে ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন হাসপাতালে খাদিজার লাশ ফেলে রেখে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সেই সাথে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধুর শ্বাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। গৃহবধু খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা ।
খাদিজার পিতা আব্দুল খালেক জানান, পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার চলে আসছে। শুক্রবার রাতে তার স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর ও ননদ মিলে আমার মেয়েকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়েছে। নিহতের বোন সাহিদা খাতুন কেঁদে কেঁদে বলেন আমার বোনকে তার স্বামী ও বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফুলপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই মোঃ সুমন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।